বাগেরহাটে শুরু হয়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসবও মাসব্যাপী মেলা।
বিশেষ পতিনিধি: আকাশ পাল।
প্রায় আড়াইশ বছরের পুরানো জেলা সদরের ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী গোপাল জিউর মন্দিরে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন বাগেরহাটের দুই আসনের সাংসদ সদস্য শেখ তন্ময় । রোববার দুপুরে বাগেরহাট সদর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের লাউপালা গ্রামে এ উৎসবে অংশ নেন হাজার-হাজার ভক্ত পূণ্যার্থী। প্রতি বছর আষাঢ় মাসের এই দিনে শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।শ্রী শ্রী গোপাল জিউর মন্দিরের সভাপতি চিত্ত রঞ্জন মিত্রের সভাপতিত্বে মন্দির প্রাঙ্গণে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন |
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেখ তন্ময় সংসদ সদস্য বাগেরহাট ২,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরদার নাসির উদ্দীন উপজেলা চেয়ারম্যান বাগেরহাট সদর, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আক্তারুজ্জামান বাচ্চু সভাপতি বাগেরহাট উপজেলা আওয়মী লীগ, আলহাজ্ব হায়দার আলী মোড়ল চেয়ারম্যান বারুই পাড়া ইউনিয়ন পরিষদ,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেগ এমদাদুল হক বাচ্চু চেয়ারম্যান যাত্রা পুর ইউনিয়ন পরিষদ|
সভাপতি :শ্রী চিত্তো রঞ্জন মিত্র সভাপতি গোপাল জিউ-র মন্দির লাও পালা বারুই পাড়ার বাগেরহাট, সঞ্চালনায় : শ্রী অমিত রায় সাধারণ সম্পাদক গোপাল জিউ-র মন্দির লাও পালা বারুই পাড়ার বাগেরহাট।রথো য়াত্রা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রায়।অনুষ্ঠিত বক্তারা বলেন- যুগযুগ ধরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায়
রেখে আষাঢ় মাসের এই দিনে শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা পালন করে আসছে। এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যেন কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে প্রশাসনকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তারা। ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী গোপাল জিউর মন্দিরের সভাপতি চিত্ত রঞ্জন মিত্র দৈনিক সুবর্ণ নিউজ সহ সকল গণমাধ্যম কর্মী কে জানান, এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রথযাত্রা। এখানে দেশ বিদেশের কয়েক হাজার পূণ্যর্থী পূণ্য অর্জনের জন্য মন্দির প্রাঙ্গণে সমবেত হয়ে রথটানে অংশ নিয়েছেন।
রথযাত্রা উপলক্ষে প্রতিদিন মন্দিরে গীতা ও ভাগবত পাঠ, রামায়ণ ও পদাবলী কীর্ত্তণ গান ছাড়াও মাসব্যাপী মেলার আয়োজন করা হয়েছে। নয় দিনব্যাপী এ উৎসব আগামী ১৪ জুলাই উল্টো রথযাত্রার মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
মাসব্যাপী মেলায় দেশিয় ঐতিহ্যবাহী চারু-কারু-মৃৎ শিল্পের বাহারি পসারা নিয়ে বসেছেন দোকানীরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন